স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল নদীভাঙ্গন এলাকার মানুষজন
মতলব উত্তরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে কোস্টগার্ডের অভিযান
প্রকাশিত : ১ জুন ২০২২

মতলব উত্তরের মেঘনায় অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে কোস্টগার্ড। নদী রক্ষা কমিশনের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বুধবার (১ জুন) সকালে স্টেশন কমান্ডার লে. মাসহাদ উদ্দিন নাহিয়ান এক্সবিএন এর নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়।
এ অভিযানে অংশ নিয়েছে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। প্রথম দিনের অভিযানে ড্রেজার কিংবা বালুখেকোদের আটক করা না গেলেও লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে বালু খোকোরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মতলব উত্তরের বাহেরচরে ইকোনমিক জোন ও আশ্রায়ন প্রকল্পের পাড় ঘেঁষে নদী বেশ কিছু বাল্কহেড বালু ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও নদী তীরে নোঙর করে রাখা হয়েছে বিপুল সংখ্যক বাল্কহেড। অভিযানের খবর পেয়ে বেশিরভাগ ড্রেজার উধাও হয়ে গেছে।
অভিযান প্রসঙ্গে স্থানীয়রা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমাদের বিশ্বাস ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ। আমাদের সম্পদ বলতে এই জমি টুকুই আছে, তাও যদি ভেঙ্গে যায় আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো। প্রশাসন আজকে যে অভিযান পরিচালনা করেছেন আমরা চরাঞ্চলের মানুষ খুশি। এ অভিযান যেন অব্যাহত থাকে কোস্টগার্ডের প্রতি আমাদের এ দাবী।
কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার সুভা বলেন, কোস্টগার্ডের প্রতি আমার ইউনিয়নবাসীর শ্রদ্ধা ভক্তি আরো একধাপ বেড়ে গেল। আমার ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ আজ নামাজ পড়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য দোয়া করেছেন। কারণ যারা বালু উত্তোলন করছে তাদের পেশী শক্তির কাছে আমরা নিরুপায়। আমরা চোখ দিয়ে দেখা ছাড়া করার কিছুই নেই। আজকের এ অভিযান মতলব উত্তরের স্মরণকালের সেরা অভিযান। এমন অভিযান যেন অব্যাহত থাকে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ প্রতি অনুরোধ থাকবে।
বিষয়ে চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লে. মাসহাদ উদ্দিন নাহিয়ান এক্সবিএন জানান, প্রথম দিনের অভিযানে আমরা সফল। বালু মহলের কোন অস্তিত্ব এখন আর নেই। কেউ জোরপূর্বক মেঘনা নদীতে অবৈধপন্থায় বালু উত্তোলন করতে পারবেনা। যারা বালু উত্তোলন করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হইবে। এ অভিয়ান অব্যাহত থাকবে।