মতলব উত্তরে নির্যাতনের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ কাজী
প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর ২০২১

মতলব উত্তর উপজেলায় নির্যাতনের শিকার জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ কাজী। সে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের মমরুজকান্দি কাসিম নগর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, উপজেলার মমরুজকান্দি মৌজার সুজাতপুর বাজারস্থ এলাকায় মুক্তি নিবাস নামে একটি ভবন নির্মাণ করেছে। সে ভবনকে ঘিরেই নানা নির্যাতনের শিকার হন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। নির্যাতন থেকে পরিত্রান পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
নির্যাতনের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ কাজী বলেন, আমার চাকুরি জীবনের পেনশনের টাকায় আমি বাড়িটি নির্মাণ করি। বাড়ি নির্মানের পর থেকেই বিএনপি ও জামায়েতপন্থী কিছু লোকজন আমার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে। স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত কিছু লোকজন পার্শ্ববর্তী সুজাতপুর বাজার মসজিদ প্রস্রাবখানা দুর্গন্ধের কারনে কোন মানুষ বসবাস করতে পাড়ছে না। ভাড়াটিয়ারাও বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা।
আলী আহমেদ কাজী আরো বলেন, মসজিদের প্রস্রাবখানা পূর্বে যেখানে ছিল সেখানে আমার জায়গা আছে। ঐখানে করলে আমি ১০ হাজার টাকা দিবো বলে স্বীকার করার পরও তারা মানেননি। সেখানে করলে আমার এমন ক্ষতি হতোনা। তারা মোটা অংকের টাকা চেয়েছে আমার কাছে। আমি দিতে না পারায় তারা আমার ক্ষতির জন্য এ কাজ করছে।
তাদের বাঁধা দিয়েও কোন ফল পাইনি। বরং আরো উল্টো আমাকে মারধর করতে আসে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাই প্রতিকার চেয়ে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরীফুল হাসানের নিকট ১৩ সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগ দাখিল করি।
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নিকট সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার ভাইয়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মসজিদের জায়গাতেই জনস্বার্থে করা হয়েছে। কাউকে ক্ষতি করার জন্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান কামাল বলেন, আমি খোঁজ খবর নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে প্রয়োজনীয় আইনগত সহযোগিতা করব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরীফুল হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ কাজীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।