মতলব উত্তরের কলাকান্দা সপ্রাবি. স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে পাঠদান কার্যক্রম

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

মতলব উত্তর উপজেলার ৪৯ নং কলাকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যাপিঠে সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের প্রধান গেইটে শিক্ষার্থীদের মাস্ক প্রদান, স্প্রে করা, ও শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে কক্ষে প্রবেশ করানো হচ্ছে। পাঠদানের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করনীয় বিধি ও সরকারের নির্দেশনাগুলো ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন শিক্ষকরা।

উপজেলা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সরকারি ১৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯০টি কিন্ডারগার্টেন, মাধ্যমিক ৩৩টি, মাদ্রাসা ১২টি, কলেজ ৬টি ও স্কুল এ- কলেজ ৫টি কলেজে পাঠদান চলছে। প্রতিটি কক্ষে সামাজিক দূূরত্ব বজায় রেখে ২০জন করে শিক্ষার্থীদের বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

৪৯নং কলাকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাশরাফিয়া ও সাকিবাসহ অনেকেই জানায়, দীর্ঘীদন পরে প্রিয় স্কুলে আসতে পেরে তারা খুবই খুশি। সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শিক্ষকরা তাদের শ্রেনিকক্ষে প্রবেশ করিয়েছে। এভাবেই তারা আগামীতেও স্কুলে আসতে চায়। বিদ্যালয়ের মতো প্রিয় আর কিছুই নেই। বহুদিন পর এসে শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা হয়ে খুবই ভালো লাগছে। বিদ্যালয়ে আসলে পড়ালেখার প্রতি অন্য রকম একটি শক্তি পাওয়া যায়।

  • ৪৯নং কলাকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা সরকারের সকল নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করিয়ে সরকারের প্রদান করা রুটিন মাফিক পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছি। শিক্ষার্থীদেরকে আপাতত সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই পাঠদান কার্যক্রম চলবে। এরপর তাদের পাঠদানের কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। আমরা আগেই প্রতিটি শ্রেণি কক্ষ জীবানুনাশক দিয়ে পরিস্কার করেছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বেঞ্চে চিহ্নত করেছি। শিক্ষার্থীসহ আমরা শিক্ষকরা খুবই আনন্দিত বহুদিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে পেরে। আগামীতেও আমাদের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
  • উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী মো. শরিফুল হাসান বলেন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেই উপজেলার সকল বিদ্যাপিঠে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামীতেও সকল স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব এবং সরকারের জারি করা নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের জন্য স্ব-স্ব বিভাগকে কঠোর ভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছি। যেন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মের কোন বাত্যয় না ঘঠে।

আপনার মতামত লিখুন :