মঙ্গলবার চাঁদপুরে ৪০ টি গ্রামে ঈদ
প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০২১

সোমবার (১৯জুলাই) পবিত্র হজ্ব পালিত হয়েছে। তাই মঙ্গলবার সৌদিআরব সহ পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে। চাঁদপুর জেলার ৪০ টি গ্রামে সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে রোজা শেষে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা ও কোরবানি দিয়ে থাকে।
চাঁদপুরের ৪০ টি গ্রামে মঙ্গলবার পালিত হবে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা । সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এসব গ্রামের বাসিন্দারা এই উৎসব পালন করছেন। এই উৎসবে শামিল হওয়ারা বিভিন্ন পীরের অনুসারী। পীরের নির্দেশেই দীর্ঘ দিন ধরে এই উৎসবে পালন করে আসছেন তারা।
চাঁদপুরের ৪০ গ্রামের বাসিন্দারা চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফ ও হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারী। হাজিগন্জের সাদ্রা দরবারের বর্তমান পীর মাওলানা আবু জোফার আব্দুল হাই জানান, এই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক একদিন আগে ধর্মীয় উৎসব পালনের রেওয়াজ চালু করেন।
মঙ্গলবার ঈদ উদযাপিত হওয়া চাঁদপুরের গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনী, বাহেরচর পাঁচআনী, দেওয়ানকান্দি, লতরদি, মাথাভাঙ্গা, আমিয়াপুর, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রাম।
জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি।
ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান মাওলানা ইসহাক ওই বছরই নিজ গ্রামে ফিরে একই উদ্যোগ নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। গ্রামের অসহায় ও দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রথা চালু করেন। পরে তিনি দরবার শরীফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
মতলব উত্তর উপজেলার দেওয়ানকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দিন ডালিম বলেন, আমরা চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী , আমাদের পূর্বসূরিরা মির্জাখীল দরবার শরীফ ও সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উৎসব পালন করতো আমরাও সেই রেওয়াজ ধরে রেখেছি। আগামীকাল মঙ্গলবার করোনা মহামারীর কারনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দেওয়ানকান্দি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল নয়টায় ঈদুল আযহা নামাজ পড়তে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন।