চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক পেলেন আক্তার হোসেন মাঝি
প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

চাঁদপুর :
চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর বিএনপি’র সভাপতি এবং চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাএ সংসদের সাবেক ভিপি আক্তার হোসেন মাঝি।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃত্ব পর্যায়ের এক রূদ্ধধার বৈঠক জেলা বি এন পির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের মনিরা ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে চারজন প্রার্থীর মধ্য থেকে শাহজালাল মিশন ও কাজী মোঃ ইব্রাহীম জুয়েল প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয় বলে একাধীক সূত্রে জানা যায়।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে মেয়র পদের প্রার্থীর নাম গণমাধ্যমের সামনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
তিনি বলেন, আমরা মাইক ব্যবহার করতে চাইলে ও তা ব্যবহার করতে দেয় হয় না, এটা সরকার দল মনে হয় আইন পাশ করেছে, আমাদের নেতা কর্মীরা রাস্তায় দাঁড়াতে পারিনা। আমাদের দল থেকে চারজন প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছেন। আমরা দল থেকে চিন্তা ভাবনা করে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ছাএনেতা আক্তার হোসেন মাঝিকে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র পদে ধানের র্শীষ প্রতিকে মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনিত করেছি । অপর প্রার্থী মোশারফ হোসাইন, শাহজালাল মিশন ও কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল সমর্থন দিয়েছে। আমরা এই নির্বাচনের মাধ্যমে গনতন্ত্র পুনুরুদ্ধার করবো,দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও তারেক রহমান কে দেশে ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. সেলিম উল্যাহ সেলিম, মাহাবুব আনোয়ার বাবলু, দেওয়ান সফিকুজ্জামান, মুনির চৌধুরী, কাজী গোলাম মোস্তফা, খলিল গাজী, ফেরদৌস আলম বাবু, সেলিমুছ সালাম, অ্যাড. হারুনুর রশীদ, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান বাবুল, হাজী মোশারফ হোসাইন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সামছুল ইসলাম মন্টু, চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান আকাশ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদ কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা ছাত্রদলের ইমাম হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন’সহ বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর আবেদন ফরমের ভিত্তিতে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা হয় এবং সেটি মূলতবি করে শুক্রবার রাতে পুনরায় জেলার নেতৃবৃন্দ সভায় মিলিত হয়।প্রায় দেড়যুগ পৌরসভা মেয়র থেকে বঞ্চিত দলটি একক প্রার্থী নির্ধারণ বেশ ঘাম ঝড়াতে হয়েছে। শক্তিশালী সরকার দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে একক প্রার্থী নির্বাচনে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণে রয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারকগণ। কারণ সদ্য প্রয়াত বিএনপির মনোনিত একক প্রার্থী ব্যপক জনপ্রিয় নেতা শফিকুর রহমান ভূঁইয়ার স্থলে জনপ্রিয়তা এবং সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পন্ন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে আগ্রহী ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
গত ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ও ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে পুনরায় চাঁদপুর জেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রার্থীদের সাথে বৈঠকে মিলিত হয়ে আক্তার হোসেন মাঝিকে মনোনিত করেন। প্রসঙ্গত, আগামী ১০ই অক্টোবর শনিবার চাঁদপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। স্থগিত হওয়া চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনের পুনঃতফসিলে ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১০ই অক্টোবর শনিবার ভোটগ্রহণ। ওইদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য গত ২৯ মার্চ এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সফিকুর রহমান ভূঁইয়ার মৃত্যুতে ১৬ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন । এদিকে চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার স্থগিত নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া ইতোপূর্বে মেয়র পদে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের আর নতুন করে দাখিলের প্রয়োজন হবে না। একই সাথে সংরক্ষিত কাউন্সিলর, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ থাকবে না। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে।